রংপুরে কনকনে শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ২৫ অগ্নিদগ্ধ রোগী।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে নতুন করে পাঁচ নারী রমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনকে বার্ন ইউনিটে এবং বাকি চারজনকে ১৬ নম্বর (বিশেষ) ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের শরীরের ৭০-৮০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
রমেক বার্ন ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, আগুন পোহাতে গিয়ে গত ডিসেম্বরে ৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ২৫ জন।
তাদের শরীরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। ডিসেম্বরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন মৃত্যু হয়েছে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার আফরোজা (৩৭) ও পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার নছিমন বেওয়া (৬৮) নামে দুই নারীর।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, শীত মৌসুমে আগুনের উত্তাপ নিতে গিয়ে প্রতিবছর মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। সচেতন না হলে এভাবে প্রাণহানি বন্ধ করা সম্ভব নয়। চলতি মৌসুমে এখনও পর্যন্ত দুই নারীর মৃত্যু হলেও চিকিৎসকদের আশঙ্কা, অগ্নিদগ্ধের সংখ্যা ও মৃত্যু বাড়বে। এই মৃত্যু রোধে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. আব্দুল হামিদ পলাশ জানান, শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আগুন পোহাতে গিয়ে অসাবধানতাবশত তারা দগ্ধ হয়েছেন। এরমধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।